মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় তিন পুলিশকে কুপিয়ে জখমের প্রধান হোতা মো.রাকিব (১৯) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও একটি দেশী তৈরী বন্দুক (এলজি) উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটার মোড়াপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো.রাকিব বরইতলী ইউনিয়নের মহছনিয়াকাটার মোড়াপাড়া গ্রামের আবদুর রশিদ। এর আগে গতকাল ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মো.রাকিবকে প্রধান আসামী করে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মোট ৫০ জনের নামে মামলা করেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অপু দে।
ওই মামলায় নারীসহ ১৫জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার রাতেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ ওই মামলার প্রধান আসামী মো.রাকিবকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার (এসআই) রাজিব সরকার বলেন, গত মঙ্গলবার হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শামীম আল হাসানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আসামী ধরতে অভিযানে যায় মহছনিয়াকাটা এলাকায়।
এসময় মো.রাকিবের নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ মিলে পুলিশের উপর হামলায় চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন পুলিশকে কুপিয়ে জখম করে। এতে এসআই শামীম, কনস্টেবল তরিফুল ও মামুনের মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর জখম হয়।
পুলিশের উপর হামলার ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এশাধিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং হামলার সাথে জড়িত নারীসহ ১৫জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।
পুলিশের উপর হামলায় ঘটনায় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই অপু দে বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলাটি তদন্ত করছেন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি (পরিদর্শক) কাউছার হামিদ।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনার মুল হোতা মো.রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও একটি দেশীয় তৈরী বন্দুক (এলজি) উদ্ধার করা হয়। তাকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
পাঠকের মতামত