হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী:
রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের গর্জনিয়া বাজারে মো: মহিউদ্দিন নামে এক শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তাঁর বাম হাতের কব্জি এবং বাহুতে দা দিয়ে কুপানো হয়েছে। আহত মহিউদ্দিন কচ্ছপিয়ার বালুবাসা গ্রামের মো: মোসলেমের ছেলে। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা এস.ই.এসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গর্জনিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: এরশাদ উল্লাহর দোকানে হামলার এ ঘটনা ঘটে। মুঠোফোনে মো: এরশাদ উল্লাহ জানান- শিক্ষক মহিউদ্দিন তার নিয়মিত ক্রেতা। গাজী ট্যাংক এর ব্যাপারে আলাপ করার এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে বালুবাসা গ্রামের শামশুল আলমের ছেলে মাহবুব নতুন দা দিয়ে শিক্ষক মহিউদ্দিনকে দুটি কুপ দিয়ে পালিয়ে যায়। একটি তাঁর বাম হাতের বাহুতে এবং অন্যটি একই হাতের কব্জিতে প্রচন্ডভাবে আঘাত হানে। তখন ঘটনাস্থল রক্তাক্ত হয়ে যায়। সাথে সাথে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আহত শিক্ষকের চাচাতো ভাই নজিবুল আলম বাহাদুর মুঠোফোনে জানান- শামশুল আলমের ছেলে মাহবুবের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা রয়েছে। মাহবুব পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে। আহত শিক্ষক মহিউদ্দিনের অবস্থা গুরুত্বর বলে জানান তিনি। হামলার পর পর তাঁকে কক্সবাজার সদর হাতপাতালে নেয়া হয়। পরবর্তী উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থ্রোপেডিক্স বিভাগে এবং বর্তমানে ঢাকার জাতীয় অর্থ্রোপেডিক্স হাসপাতাল ও পূর্নবাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) রেফার্ড করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পরিদর্শক মো: মাসুদ রানা জানান- জমি নিয়ে পূর্ব শত্রুতা থেকে এমন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে গর্জনিয়া বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে একজন শিক্ষককের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় হতবাক সচেতন মহল। তাঁরা এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত