গরু কিংবা মহিষ নয় ঘোড়া জবাই করে খাওয়ানো হচ্ছে !
উখিয়ায় ঘোড়া জবাই করে বিক্রির চেস্টা!
নিজস্ব প্রতিবেদক::
পবিত্র শবে কদরের দিনে গরু কিংবা মহিষ নয়, ঘোড়া জবাই করে বিক্রীর চেষ্টা করেছে। এ খবর জানাজানি হলে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস রেখে পালিয়েছে কসাই চক্র সদস্যরা। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। তাৎক্ষনিক আটককৃতদের নাম জানা যায়নি।
কক্সবাজারের উখিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে দুর্বল ও অসুস্থ ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রির খবর পাওয়া গেলেও আজ হাতে নাতে আটক করেছে জনতা।
সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যাবাজার লাকড়ির দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে, কসাই মাহাবুল আলম দীর্ঘদিন ধরে রাতের আধারে দুর্বল ও অসুস্থ ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে মানুষকে খাওয়াচ্ছে। সে মরিচ্যা বাজার এলাকার বাসিন্দা মিয়াজান ফকিরের ছেলে।
এ ঘটনায় কসাই মাহাবু ও অপরাপর সদস্যরা পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী ও মেয়েকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
হলদিয়াপালং ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনজুর আলম বলেছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জবাইকৃত ঘোড়ার মাংস, মাথা, ল্যাজসহ ঘটনাস্থল থেকে দুই নারীকে আটক করা হয়েছে।
জঘন্য এই অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করে তিনি এও বলেছেন, রাতের আধারে অসুস্থ এবং দুর্বল ঘোড়া নিয়ে আসার খবর পেলেও দিনের বেলায় ঘোড়া গুলো দেখা যেত না। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে পাহারা দিয়ে আজ হাতে নাতে ধরা হয়েছে।
হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেছেন, মরিচ্যা বাজারে ঘোড়া মাংস বিক্রির খবরে গত দুদিন ধরে পাহারা দিচ্ছিলাম। আজ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি গাড়ী থেকে জবাইকৃত ঘোড়ার মাথাসহ বিভিন্ন অংশ এবং কসাই মাহাবুল আলমের বাড়ি থেকে ঘোড়ার মাংস জব্দ করা হয়।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানান , গরুর মাংসের নামে ঘোড়া জবাই করে বিক্রির চেষ্টাকালে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় ঘোড়ার মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অভিযুক্ত কসাই পালিয়ে যাওয়ার তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মতামত