নিজস্ব প্রতিবেদক::
কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪জন ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলামের পিপিএম (বার) নির্দেশনায় ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্য আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি চৌকস দল গত ৩ এপ্রিল দুপুর থেকে দিবাগত রাত পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে রামু বাইপাস সড়কের জনৈক নুরুচ্ছফার বিল্ডিং এর সামনে থেকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ তাদের আটক করে।
আটককৃতরা হলেন মোঃ জাহেদ হোসেন (২৪), পিতা-আব্দুল জলিল, মাতা-আনোয়ারা বেগম, দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া, ৭নং ওয়ার্ড। মোঃ নুরুল আমিন মুন্না (২৮) পিতা-আব্দুল খালেক, মাতা-হামিদা বেগম, সাং-দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া, বাচামিয়ার ঘোনা, ৭নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা। মোঃ মামুন (১৯) পিতা-মোঃ বাহাদুর, মাতা-বুলবুল আক্তার, সাং-তারাবুনিয়ার ছড়া, ৭নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা ও ওসমান গনি কাজল (২০) পিতা-মৃত জামাল হোসেন, মাতা-নুর নাহার বেগম, সাং-ধোয়াপালং, নয়াপাড়া, ৬নং ওয়ার্ড, খুনিয়াপালং, রামু, কক্সবাজার।
এসময় তাহাদের কাছ থেকে একটি টিপ ছুরি, একটি লাল বাটযুক্ত সিলভার ও কালো রং মিশ্রিত টিপ ছুরি, একটি প্লাস্টিকের বাটযুক্ত টিপ ছুরি, একটি সিলভার রংয়ের লোহার পাইপ ও আসামীদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্য আহমেদ নাসির উদ্দিন মোহাম্মদ বরেন, গ্রেফতারকৃতদের সহযোগীরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে আসামী নুরুল আমিন মুন্নার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, ছিনতাইসহ ২০টি মামলা, জাহেদ হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ২টি মামলা ও পলাতক আসামী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা ও মঞ্জুর আলমের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ধৃত আসামী নুরুল আমিন মুন্নার নেতৃত্বে পলাতক আসামীরা বিভিন্ন এটিএম বুথ, ব্যাংকের টাকা বহনকারী গাড়ি এবং পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষ্যে মার্কেটগামী জনসাধারণের টাকা ও মূল্যবান মালামাল ডাকাতির উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করে। আসামী নুরুল আমিন মুন্না ও জাহেদ সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় জেল খেটে জামিনে মুক্তি লাভ করে পুনরায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে জেলায় ছিনতাই ডাকাতির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টায় লিপ্ত হন। তাদের বিরুদ্ধে রামু থানায় ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত