নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের উখিয়ায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপায় তিন রোহিঙ্গা শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিস ও সেনা-পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে। ঘটনায় জড়িতদের আটক হয়নি কেউ।
বুধবার (২৯ মার্চ) ভোরে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের মূহুরীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো, উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১ইষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আব্দুল মোতালেবের ছেলে জাহিদ হোসেন(২৩)ও একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ওয়ারেসের ছেলে ছৈয়দ আকবর (২১) ও উখিয়ার ১৭নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সুলতান আহমেদ এর ছেলে নুর কবির(২৪)।
স্থানীয়রা বলেছেন, উখিয়ার বন বিভাগকে ম্যানেজ করে প্রতিদিন এ পাহাড় কাটা হচ্ছে। এখানে রাত হলে অনেক রোহিঙ্গা শ্রমিকের আগমন ঘটে। এজন্য পাহাড় কাটা বন্ধ হচ্ছে না। এসব কাজে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদদ দিয়ে যাচ্ছে ভিলেজার ও হেডম্যান। ইতিপূর্বে এই জায়গায় হতাহতের ঘটনা ঘটে ছিল। সেটি ধামাচাপা দেওয়া হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের বরাতে গেছে, স্থানীয় টুনা মিস্ত্রি এবং নেছার আহমেদের বাড়ির পাহাড় কেটে সমতল করার কাজ করছিল একদল রোহিঙ্গা শ্রমিক।
মাটি কাটার এক পর্যায়ে উপরে থাকা নেছার আহমেদের বাড়ির আঙ্গিনা অংশের পাহাড় ধ্বসে পড়লে কর্মরত তিন শ্রমিক মাটিতে চাপা পড়ে।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা একজনকে মৃতদেহ উদ্ধার করে, পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উদ্ধার করা হয় আরো দুইজনের মরদেহ।
উদ্ধার তৎপরতায় নিয়োজিত উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভেল ডিফেন্স এর স্টেশন ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করার পর যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে ছৈয়দ আকবর এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, সদর বিটের আওতাধীন এলাকায় ৪০/৫০ বছর জবর দখলকৃত পাহাড় ভোর রাতে কাটার সময় মাটিচাপায় তিনজন নিহত হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাহাড়খেকোদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত