নিজস্ব প্রতিবেদক::
কক্সবাজারের উখিয়ায় বসত ভিটাকে নাল জমি উল্লেখ পূর্বক ভুয়া খতিয়ান সৃজন করে বিক্রির পায়তারা করছে কতিপয় ভূমিদস্যুরা। এ ঘটনায় ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত এবং শত বছরের ভোগ দখলীয় বসত ভিটা রক্ষা করতে প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরছে ১৫ পরিবারের শতাধিক মানুষ। এ নিয়ে যে কোন মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় বাপ-দাদার দিন্যা বসত ভিটা রক্ষা করতে ৯জনকে বিবাদী করে উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে জিনাংশু বড়ুয়া। সে রত্নাপালং ইউনিয়নের আমিরজান বাপেরপাড়া পূর্বরত্না প্রকাশ টুইন্যার খাটির মাথা এলাকার বাসিন্দা মৃত পুলিন বিহারী বড়ুয়ার ছেলে।
অভিযোগে প্রকাশ, এদিকে সম্প্রতি জমি-জমার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আরএস খতিয়ান ১০৫২, ১৫৭, ৫১৫, ২৪২, ১৫৮, বিএস দাগ ১১১৫, ১১১৬, ১২১৯, ৩৮২০, ৩৮২৪, ৩৮২৫ দাগাদির আন্দরে ৩.৮৩ একর ভিটা বাড়ি দূর্লোভে বশে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁপালং হাতিরঘোনা ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত বিনোন্দ কুমার বড়ুয়ার ছেলে অপূর্ব বড়ুয়া, ভুলু বড়ুয়া, বকুল বড়ুয়া, মৃদুল বড়ুয়া ও রত্নাপালং ইউনিয়নের আমিরজান বাপের পাড়া এলাকার মৃত বোঁচারাম বড়ুয়ার ছেলে সুনীল বড়ুয়া, সুনন্দ বড়ুয়া, সন্তোষ বড়ুয়া, শিশু বড়ুয়া, নসু বড়ুয়া সংঘবদ্ধ হয়ে জবরদখলের চেষ্টা করে। এছাড়াও ভুয়া খতিয়ান সৃজন করে বেচা-বিক্রীর চেষ্টা চালাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে বিবাদীদের মধ্যে কেউ উপস্থিত না থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বিরোধীয় ভিটাবাড়ি গগন চন্দ্রের রায়তী স্বত্ত হয়। তার মৃত্যু পরবর্তী তৎপুত্র পুলিন বিহারী বড়ুয়া ও বিপিন বিহারী বড়ুয়া প্রাপ্ত হয়ে তামাদির উর্ধ্বকাল যাবৎ ওয়ারিশানক্রমে ভোগ দখলে রত আছেন বলে জানিয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ আহমদ চৌধুরীসহ শিক্ষক অমূল্যচরণ বড়ুয়া, দিল মোহাম্মদ, মিন্টু বড়ুয়াসহ আরো অনেকে।
এদিকে তপশীলোক্ত জমির বিএস খতিয়ানে তাদের নামে না হওয়ায় “স্বত্ত্ব সাব্যস্থে বিভাগ ও দলিল বাতিলের আবেদন করেন বলে জানা গেছে। যার মামলা নং ১৪৬/২০২২। একই ভাবে খতিয়ান নামজারি আপীলের মামলা নম্বর ০৪/২০২৩।
বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উখিয়া সাব-রেজিষ্টারকে নতুন সাফ-কবলা সম্পাদন না করার জন্য অবহিত করেন বিজ্ঞ আদালত।
এ ব্যাপারে উখিয়া সাব রেজিষ্টার মো: মোর্শেদ আলমের সাথে সরাসরি এবং মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিরোধীয় বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি না পর্যন্ত দুই পক্ষকে শান্তিপূর্ণ ভাবে থাকার জন্য বলা হয়েছে। কোন পক্ষ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমণ করা হবে।
পাঠকের মতামত