নিজস্ব প্রতিবেদক::
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে দূর্যোগপূর্ণ
আবহাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া জাহাজ চলাচল একদিন পর পুনরায় শুরু হয়েছে।
সোমবার (২০মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে তিনটি জাহাজ প্রায় আড়াই শ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনদ্বীপের উদ্দেশে রওনা দেয়।
পরে দুপুর সাড়ে ১২টার পর সেন্টমার্টিনদ্বীপে পৌঁছায় জাহাজগুলো। বিকেলে জাহাজগুলোতে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকেরা টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান জাহাজ চলাচল পুনরায় শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, কেয়ারি সিন্দাবাদ, এমভি রাজহংস ও এমভি বার আউলিয়া নামের তিনটি জাহাজ সকালে সেন্টমার্টিনদ্বীপের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আটকে পড়া পর্যটকেরা বিকেলেই টেকনাফে ফিরতে পারবেন।
দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও কালবৈশাখীর আশঙ্কায় গতকাল রবিবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিনদ্বীপ নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতে সেন্টমার্টিনদ্বীপে প্রায় হাজারো পর্যটক আটকে পড়েন ।
সেন্টমার্টিনদ্বীপে আটকে পড়া গাজীপুরের এক ব্যবসায়ী মোখলেছুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, পরিবারের ১৫ সদস্যকে নিয়ে সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে যান তিনি। গতকাল ফেরার কথা থাকলেও জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরা হয়নি তাঁর। এ অবস্থায় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ এক দিনের ভাড়া তাঁদের কাছ থেকে নেননি। পরিবারের সদস্যরা আনন্দ–উল্লাসের মধ্যেই সময় কাটিয়েছেন।
সেন্টমার্টিনদ্বীপের উত্তর সৈকতে পর্যটকদের জন্য সামুদ্রিক মাছের বারবিকিউ করেন স্থানীয় বাসিন্দা হাসান মুরাদ।
তিনি বলেন, বাড়তি পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করায় ভালো ব্যবসা হয়েছে তাঁর। গতকাল রাতেই তিনি ৩৬ হাজার টাকার ব্যবসা করেছেন।
সেন্টমার্টিনদ্বীপের হোটেল ব্যবসায়ী মো. ইসহাক বলেন, গতকাল রাতে তাঁদের দুটি রিসোর্টের ৩২টি কক্ষে পর্যটক ছিল। কারও কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া হয়নি।
পাঠকের মতামত