কাপ্তাই প্রতিনিধি ::
কিছু অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজ পার্বত্যাঞ্চলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চায় সবসময়। এদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে।
রবিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে প্রাগৈতিহাসিক তীর্থস্থান কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট শ্রীশ্রী মাতা সীতা মন্দিরে মহা বারুণী স্নান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রনালয় সম্প্রর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও পার্বত্য রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সনাতন সম্প্রদায় সহ সকল ধর্মের মঠ, মন্দিরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
সীতা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন দাশের সভাপতিত্বে কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমন দে, রাঙমাটি জেলা পূজা উদযাপন সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক অমলেন্দু হাওলাদার, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক ও শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল ওহাব, কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন, চন্দ্রঘোনা থানার ওসি শফিউল আজম, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন, চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী, কাপ্তাই জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুর্বণ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দাশ এবং সীতা মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ জ্যোতির্ময়ানন্দ পুরী মহারাজ।
এরআগে প্রধান অতিথি রাঙামাটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সীতারঘাট মন্দির কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এছাড়া মহাবারুণী স্নান উপলক্ষে গত শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং রাত ৮ টায় মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠকের মতামত