ভারতের জলপাইগুড়িতে ভেটেনার্স ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালীন মারা গেছেন হানিফ রশিদ ডাবলু নামের বাংলাদেশি ফুটবলার। ঢাকার সোনালি অতীত ক্লাবের হয়ে তিনি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রেখে গেছেন স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে।
পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাট ব্লকের গয়েরকাঁটা হাই স্কুল মাঠে ২২ ও ২৩ জানুয়ারি গ্রিন ল্যান্ড ডুয়ার্স ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ভেটেনার্স ফুটবল টুর্নামেন্ট। অন্যতম আয়োজক উত্তম বিশ্বাস জানান, প্রতিযোগিতায় প্রথম দিনে রবিবার (২২ জানুয়ারি) খেলা ছিল বাংলাদেশ সোনালি অতীত ক্লাবের সঙ্গে মালদা দলের। চলছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাঠে পড়ে যান ডাবলু।
অভিযোগ উঠেছে, আন্তর্জাতিক মানের এমন ম্যাচে মাঠে ছিলো না কোনও অ্যাম্বুলেন্স, প্রাথমিক চিকিৎসার মতো মেডিক্যাল টিম। তাৎক্ষণিকভাবে আয়োজক ও খেলোয়াড়রা মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
বাংলাদেশের অধিনায়ক আরমান জানান, ডাবলুর বয়স ৫৬। তার বাড়ি রাজধানীর আরামবাগ এলাকায়। স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। একসময় ভালো ফুটবলার ছিলেন ডাবলু।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তার। ময়নাতদন্তের পরই ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে। রবিবার খেলা বন্ধ করে দেন আয়োজকরা। ঘটনা তদন্ত করে দেখার কথা জানিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের সদস্যা মিতালী রায় বলেন, ‘তিনি ঘটনাস্থলে গেছেন। রাজ্য সরকার পাশে আছে।’
জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক কুমার দত্ত বলেন, ‘খেলা দেখার জন্য আমাকে ফোনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তারা বাইরে থেকে খেলতে এসেছে। শুনেছি মাঠে অ্যাম্বুলেন্স না থাকার বিষয়। আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় অ্যাম্বুলেন্স, প্রাথমিক মেডিক্যাল ইউনিট রাখা দরকার ছিলো আয়োজকদের।’
ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার বিশ্বজিৎ মাহাতো বলেন, ভেটেনার্স খেলোয়াড়দের নিয়ে বানারহাটের ক্লাব ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। খেলা শুরু হলে মাঠেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশের এক খেলোয়াড়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পাঠকের মতামত