উজ্জ্বল রায়, নড়াইল থেকে:
নড়াইলের কালিয়ায় শেখ আবু তালেব (৭৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার গন্ধবাড়িয়া গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের খাদ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আবু তালেব উপজেলার মাউলি ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ছিলেন।
পুলিশ ও মৃত ব্যক্তির স্বজনেরা বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আবু তালেব বাড়ি থেকে বের হন। দীর্ঘ সময় বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে গ্রামের মসজিদের মাইকেও আবু তালেবের নিখোঁজের বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়। রাত ১২টার দিকে আবু তালেবের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে বেড়িবাঁধের খাদে তাঁর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডি গঠন করতে অভিভাবক সদস্য নির্বাচন ছিল ১৪ নভেম্বর। কমিটির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন আবু তালেব।
আজ বৃহস্পতিবার সদস্যদের সমর্থনে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার দিন ছিল। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, মাদ্রাসা কমিটির নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে।
মাউলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রোজী হক বলেন, মাদ্রাসার গভর্নিং বডি নির্বাচন নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা ছিল। এ ছাড়া সম্প্রতি গ্রামে আর কোনো বিষয়ে বিরোধ দেখা যায়নি। কিন্তু কী কারণে আবু তালেবের মৃত্যু হলো সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
নড়াগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি বেড়িবাঁধের খাদের পানিতে পড়েছিল। প্রাথমিকভাবে শরীরে আঘাতের চিহ্ন বোঝা যাচ্ছে না। তবে লাশ উদ্ধারের সময় নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল। লাশ উদ্ধারের চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা আগে আবু তালেবের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল রাতেই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের ভাষ্যমতে, আবু তালেবের মৃত্যুর পেছনে মাদ্রাসার নির্বাচনের বিষয়টি সামনে আসছে। সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পাঠকের মতামত