নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪/৫ টি পয়েন্টে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ২ দিন ধরে টানা গোলাগুলি চলছে। এতে আতংকিত ৩ শতাধিক স্থানীয় লোকজন
নিরাপদে অন্যত্রে চলে গেছে।
নাইক্ষংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানিয়েছেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ৪২ থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত এলাকার বিপরীতে মিয়ানমারের
অভ্যন্তরে ২ দিন ধরে টানা গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে। এতে মাঝে-মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও চলছে আসছে গুলি। এতে সীমান্তের চাকঢালা, ফেরারবিল, জামছড়ি, ফুলতলী, বড়ছনখোলা, আমতলী ও দৌছড়ি এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম
আতংক তৈরী হয়েছে।
তিনি জানান, এতে অনেকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসছে নিরাপদে। এ জন্যে তাদের জন্যে জরুরী সেবা দেয়ার জন্যে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী আশ্রয়
শিবির খোলা হয়েছে। তাদেরকে সেখানে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
স্থানীয় এমইউপি ফরিদুল আলম জানান, শনিবার আতংকিত লোকজন নিরাপদে চলে গেলেও
রোববার সকালে ঘরে ফিরতে শুরু করেছিল। কিন্তু রোববার সকাল ৯ টা থেকে আবারো ব্যাপক গুলি শব্দ শুনে আবারো নিরাপদে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬ -৭ গ্রামের ৩ শতাধিক মানুষ অন্যত্রে চলে গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের নিকটবর্তী বাসিন্দা সাহাব মিয়া জানান, সীমান্তের ওপারে বৃষ্টির মতো ভারী অস্ত্রের গুলির আওয়াজ তাদেরকে তটস্থ করে তুলেছে। শিশু ও নারীরা দ্বিকবিদিক পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে নিরাপদ দূরত্বে স্বজনদের বাসা বাড়িতে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদৌস বলেন, ঘটনায় কিছু লোক সীমান্ত থেকে পালিয়ে আসার খবর পেয়ে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে লোকজনকে শিবিরে নিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন তারা।
পাঠকের মতামত