নিজের সন্তানকে এভাবেও জাতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যায়, সেই নজির দ্বিতীয়বার দেখালেন ঢালিউড কিং শাকিব খান! একেবারে হুবহু চিত্রনাট্য। প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস অভিনয় করেছেন যে চিত্রনাট্যে, প্রায় একই চিত্রনাট্যে দারুণ অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী।
তবে অপুর চিত্রনাট্যের শেষটায় প্রচুর কান্না থাকলেও বুবলীর শেষটায় স্বস্তি বিরাজ করছে। দুটো চিত্রনাট্যে পার্থক্য এটুকুই।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরবেলাকে ‘শুভ দিন-ক্ষণ’ উল্লেখ করে নিজেদের ভেরিফায়েড পেইজে শাকিব ও বুবলী একই স্টেটমেন্ট দিয়েছেন ২০ মিনিটের ব্যবধানে। প্রথমে বুবলী, তারপর শাকিব। যার মধ্যদিয়ে গত ক’দিন ধরে চলতে থাকা ‘বেবিবাম্প’ নাটকের একটা কিনারা হলো। যে স্টেটমেন্ট এক টেবিলেই লেখা, শুধু পোস্ট হয়েছে আলাদা আলাদা দেয়ালে; খানিক সময়ের ব্যবধানে।
দুটো পোস্টে হালকা পার্থক্য, শাকিব খানের দেয়ালে শুধু স্থান পেয়েছে পিতা-পুত্রের ছবি। বিপরীতে মা বুবলী প্রকাশ করেছেন তিনজনেরই বেশ ক’টি ছবি। তবে কি, এই যাত্রাতেও বুবলীকে বেছে নিতে হচ্ছে অপু বিশ্বাসের পথ!
এবার পড়ে নেয়া যাক দুজনার কপি-পেস্ট স্টেটমেন্ট, ‘আমরা চেয়েছি একটি শুভ দিন-ক্ষণ দেখে আমাদের সন্তানকে সবার সম্মুখে আনতে। তবে আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্যই করেন, সেই সুখবরটি জানানোর জন্য আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হয়নি।
শেহজাদ খান বীর, আমার এবং শাকিব খানের (শাকিব খান লিখেছেন- আমার এবং বুবলীর) সন্তান, আমাদের ছোট্ট রাজপুত্র। আমার সন্তান আমার গর্ব, আমার শক্তি। আপনাদের সবার কাছে আমাদের সন্তানের জন্য দোয়া কামনা করছি।’
এর আগে জন্মের দীর্ঘ আড়াই বছর পর বীরের কথা কৌশলে জানান দেন বুবলী। শাকিব খানের বড় পুত্র জয়ের জন্মদিনে (২৭ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বুবলী তার বেবিবাম্পের ছবি পোস্ট করে ছোট খানের খবরটা জানান তিনি।
একই দিন গণমাধ্যমের কাছে বুবলী জানান, ‘আমি মুসলিম। সব কিছুই শালীনভাবে এবং সুন্দরভাবেই হয়েছে।’
জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড জ্যুইশ মেডিকেল হাসপাতালে ২০২০ সালের ২১ মার্চ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বুবলী। দীর্ঘ প্রায় ১ বছর ছিলেন কাজের বাইরে। সন্তান জন্মদানের পর দেশে ফিরে আবার ব্যস্ত হয়েছেন চলচ্চিত্রে। কিন্তু মা হওয়ার খবরটি খুবই সতর্কতার সঙ্গে গোপন রেখেছিলেন এই নায়িকা।
বুবলীর বীরের মাধ্যমে দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের বাবা হলেন শাকিব খান। অপু বিশ্বাসের ঘরে রয়েছে শাকিবের প্রথম সন্তান আব্রাম খাঁন জয়।
পাঠকের মতামত