উজ্জ্বল রায়, নড়াইল::
নড়াইলে দুর্গাপূজার উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিতে করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর: এসপি সাদিরা খাতুন। নড়াইল জেলায় এ বছর ৫৮৪ টি মন্ডপে হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামি ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে। এ জেলার ৩ উপজেলায় ৫৮৪টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা, চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মণ্ডপে মণ্ডপে দুর্গাপ্রতিমা প্রস্তুত করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। প্রতিমাশিল্পীরা নিজেদের সাধ্যের সবটুকু উজাড় করে রং-তুলির আঁচড়ে তাদের পরম আরাধ্য দেবীকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে কাজ করছেন।
কয়েকজন প্রতিমাশিল্পীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বেশ আগেই প্রতিমা গড়া শেষ হয়েছে। এখন রঙের কাজ চলছে। পূজা শুরুর শুভক্ষণ যত ঘনিয়ে আসছে, তাদের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে। যথাসময়ে প্রতিমাকে বর্ণিল সাজে সাজিয়ে তুলতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে তারা দিনরাত খেটে চলেছেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, আগামি ১ অক্টোম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে ৫ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব। ৫ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। সুষ্ঠুভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের পাশাপাশি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি।
নড়াইল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক কুমার কুন্ডু জানান, এ বছর জেলা শহরসহ ৩টি উপজেলায় মোট ৫৮৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে শিল্পীরা মন্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ অনেকখানি এগিয়ে নিয়েছেন। শেষ সময়ে অনেক মন্ডপে প্রতিমায় রংতুলির আঁচড় দিচ্ছেন শিল্পীরা। এ বছর নড়াইল সদর উপজেলায় মোট ২৬৮টি মন্ডপে,লোহাগড়া উপজেলায় ১৫১টি মন্ডপে এবং কালিয়া উপজেলায় ১৬৫টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার মোসা: সাদিরা খাতুন জানান, দুর্গাপূজার উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিতে নড়াইল জেলা পুলিশ বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত পূজার সকল আয়োজনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হিন্দু নেতারা ছাড়াও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সুধীজনের পরামর্শ ও মতামতের আলোকে পরিকল্পনা সাজাতে এরই মধ্যে জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকায় মতবিনিময় ও সভা-সমাবেশ চলমান রয়েছে। এছাড়াও যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত আলো ও যথাযথ বেষ্টনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা পুলিশসহ সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদ্যাপনের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত