বরগুনা থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা পরিবহন পরিচালনা কমিটি। বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বাধা দেওয়ায় সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বরগুনা জেলা পরিবহন পরিচালনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেন দূরপাল্লার পরিবহনের বরগুনার কাউন্টার ইনচার্জরা। ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা পরিবহন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক একে আজাদ বাবলু ও পরিবহন কাউন্টার পরিচালক পিলু ঘোষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই মাস ধরে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটে বাস চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ফলে বাসগুলো পটুয়াখালীর সুবিদখালী ও আমতলী ফেরি পার হয়ে বরগুনায় চলাচল করছে। এতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন-চার ঘণ্টা বেশি লাগছে, যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেইসঙ্গে পদ্মা সেতুর সুফল কাজে লাগাতে পারছেন না বরগুনা সদর ও তালতলী উপজেলার সড়কপথের যাত্রীরা।
বরগুনার কাউন্টার ইনচার্জরা জানান, গত ২০ বছর ধরে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে আসছে। বরগুনা থেকে ফেরি ছাড়া ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম এই সড়ক।
হঠাৎ এই সড়ক দিয়ে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন বরিশালের রূপাতলী বাস মালিক সমিতির নেতারা। আমাদের শ্রমিকদের নির্যাতন করছেন তারা। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে বরিশালের বাস মালিক সমিতির নেতাদের নির্যাতন বেড়ে গেছে। এ সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বরগুনা থেকে দূরপাল্লার সব পরিবহন অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।
শ্যামলী পরিবহনের বরগুনা কাউন্টারের ইনচার্জ পীলু ঘোষ বলেন, ‘বরিশালের রূপতলী বাস মালিক সমিতির নেতারা বরগুনা থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলে বাধা দিচ্ছেন। আমাদের শ্রমিকদের নির্যাতন করছেন। এ সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ধর্মঘট চলবে।’
সোনারতলী পরিবহনের বরগুনার কাউন্টার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাকেরগঞ্জ থেকে বরগুনার দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলে বাধা দেওয়ায় আমরা ধমর্ঘটের ডাক দিয়েছি। আমরা সমস্যার সমাধান চাই।’
বরগুনা পরিবহন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন রোকন বলেন, ‘সম্প্রতি বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন রূপাতলী বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকরা।
ফলে বাসগুলো পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এবং বরগুনার আমতলী ফেরি পার হয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়া-আসা করছে। এতে ১০ ঘণ্টা সময় লাগছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হচ্ছে যাত্রীদের। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন যাত্রীরা। যাত্রী ভোগান্তি ও বরিশাল বাস মালিক সমিতির স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আমরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছি।’
পাঠকের মতামত