এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বের শেষটা দুর্দান্ত হয়েছে বাংলাদেশের। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিন লাল কার্ডের ম্যাচে লাল-সবুজ দল ৩-০ গোলে হারিয়েছে নেপালকে। এই ম্যাচে নেপালের দুজন ও বাংলাদেশের একজন দেখেছেন লাল কার্ড।
এই জয়ে ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশ চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্ব শেষ করলো। এক ম্যাচ কম খেলে কাতার ৯ ও বাহরাইন ৭ পয়েন্ট নিয়ে আছে। দিনের অন্য ম্যাচে এরপরই মধ্যপ্রাচ্যের দুই দল মুখোমুখি হচ্ছে। সেই ম্যাচের ফলের ওপর ভিত্তি করে নির্ধারণ হবে কোন দল চূড়ান্ত পর্বে যাবে।
বাহরাইনের শেখ আলী বিন মুহাম্মদ আল খলিফা স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধের ১০ মিনিটের মধ্যে বাংলাদেশ দুই গোল করে এগিয়ে যায়।
ম্যাচ যখন ঘড়ির ৫ মিনিটে, তখন পিয়াস আহমেদ নোভার ব্যাক পাস থেকে মজিবুর রহমান জনির বক্সের প্রান্ত থেকে নেওয়া শট এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়, ফিরতি বলে অনেকটাই নিচু শটে জনিই জাল কাঁপান।
১০ মিনিটে ব্যবধান বেড়ে দ্বিগুণ হয়। জনির নেওয়া ফ্রি-কিক গোলকিপারের হাত ছুঁয়ে ক্রস বারে লেগে এলে ফিরতি বলে সামনে থেকে পিয়াস আহমেদ নোভা জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন।
২৫ মিনিটে নেপাল পরিণত হয় ১০ জনের দলে। আজিজুল হককে কনুই দিয়ে আঘাত করার কারণে নেপালের অজয় চৌধুরী দেখেন লাল কার্ড।
১০ মিনিট পর আরব আমিরাতের রেফারিকে আবারও লাল কার্ড দেখাতে হয়েছে। এবার দুদলের একজন করে খেলোয়াড় মার্চিং অর্ডার পেয়ে মাঠ ছাড়েন। একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে নেপালের আয়সু গালান ও বাংলাদেশের আজিজুল হক লাল কার্ড দেখেন।
বিরতির পর নেপালের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ফলও পেতে সময় লাগেনি। ৫২ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ হয়। নোভার ক্রসে সাজেদ হাসান লাফিয়ে উঠে হেডে জালে জড়িয়ে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন।
৭৩ থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে নেপাল গোল করার চেষ্টা চালালেও গোলকিপার মেহেদি হাসানের দৃঢ়তায় তা হয়নি। বাংলাদেশও পারেনি আর কোনও লক্ষ্যভেদ করতে। শেষ দিকে একজনের প্রচেষ্টা গোলকিপার কোনোমতে হাত দিয়ে প্রতিহত করে নেপালকে আর কোনও গোল হজম করতে দেয়নি।
এতে তিন গোলে জয়ের ব্যবধান নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে রাশেদ পাপ্পুর দলকে।
পাঠকের মতামত