কক্সবাজারের উখিয়ায় ১০ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছে। যার সিআর মামলা নম্বর ৪৪০/২০২২(উখিয়া)।
৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজাপালং ইউনিয়নের শীলেরছড়া গ্রামের বাসিন্দা আমিন শরীফের ছেলে ইদ্রিছ মিয়াজী বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
বাদীর ফৌজদারী দরখাস্তটি আমলে নিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক অভিযোগ তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরজি সূত্রে বাদী মোঃ ইদ্রিস মিয়াজীর খালা উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকায় মৃত হোসেন আলীর স্ত্রী সৌদি প্রবাসী জুহুরা বেগমের মালিকানাধীন ১১ কড়া জায়গার উপর বসত ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করলে স্থানীয় কিছু ডাকু সন্ত্রাসী, মাদকসেবী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু ও আইন অমান্যকারী প্রকৃতির লোক ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসে।
সন্ত্রাসীরা তাদের দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে বাড়ি করতে দিবে না বলে সংঘবদ্ধ হয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এমনকি প্রাণনাশের হুমকি ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে। তারা স্থানীয় শালিস বিচার মানে না।
ঘটনার দিন ৪ সেপ্টেম্বর, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রত্নাপালং ৮ নং ওয়ার্ডের টেকপাড়াস্থ বাদীর খালা জুহুরা বেগমের নির্মাণাধীন বাড়িতে অতর্কিত অনধিকার প্রবেশ করে হুমকি দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে একই এলাকার মফিজুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, আলী আহমদের ছেলে নুর মোহাম্মদ, মফিজুর রহমানের ছেলে মো: আলমগীর, মো মানিক, মো: আশিক ও কামাল উদ্দিনের ছেলে মো: জিয়া, মো: আরফাত সহ অজ্ঞাত ৭/৮জন। তখন আসামীগণ তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দিলে মারধর করার জন্য উদ্ব্যত হলে বাদী নিরাপদ দূরত্বে সরে প্রাণে রক্ষা পায়। এরপরে সন্ত্রাসীরা শ্রমিকদের প্রাননাশের হুমকি দিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এমনকি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা, মোকদ্দমা কিংবা জিডি না করারও হুমকি দেয় বলে জানিয়েছেন বাদী ইদ্রিছ মিয়াজী। বর্তমানে তিনি মারাত্নক উৎকণ্ঠায় জীবন-যাপন করছে বলেও তিনি জানান।
অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা মো: আলমগীরের মুঠোফোনে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাদীপক্ষের আইনজীবী অনিল কান্তি বড়ুয়া বলেন, আদালত চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলাটি গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাঠকের মতামত